অস্থিতিশীল দেশের চিনির বাজার। বেশি দাম দিয়েও বাজারে মিলছে না চিনি। সরকার দেশের চিনির বাজার স্বাভাবিক করতে হিমশিম খাচ্ছে। অবৈধভাবে মজুতকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীদের কঠোর নির্দেশনা দিচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ভর্তুকিমূল্যে চিনি বিক্রি করছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। তবে এমন সংকটেও যেন ‘কিছুই যায় আসে না’ রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি উৎপাদন ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি)। বছর শেষে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি ও লোকসানের ‘গল্প’ শুনিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাষ্ট্রীয় চিনিকলে উৎপাদনের অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে বর্তমানে বাজারে যে সংকট, তা দ্রুত সমাধান হতে পারতো। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয়টি চিনিকল বন্ধের পর বাজার সম্পূর্ণ বেসরকারি রিফাইনারিদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। এখন চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারের হাতে কোনো কার্যকরী উপায় নেই।
বিএসএফআইসি বলছে, সরকারি চিনিকলগুলো গত অর্থবছরে (২০২১-২২) চিনি উৎপাদন করেছে মাত্র ২৪ হাজার ৫০৯ টন। এ উৎপাদন ইতিহাসের রেকর্ড সর্বনিম্ন, যা আগের বছরের তুলনায় অর্ধেক। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলে উৎপাদন হয়েছিল ৪৮ হাজার ১৩৩ টন। অথচ রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর বার্ষিক উৎপাদন সক্ষমতা দুই লাখ ১০ হাজার ৪৪০ টন। অর্থাৎ সক্ষমতার চেয়ে প্রকৃত উৎপাদন ৮ ভাগেরও নিচে নেমেছে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন চিনির চাহিদা ১৮-২০ লাখ টন, যার প্রায় ৯৫ শতাংশই আমদানিনির্ভর।