কেশরহাটে দোকানঘরের মালিকানার দ্বন্দ্বে মারধোর ও থানায় অভিযোগ
মোহনপুরের কেশরহাট বাজারে দোকান ঘর দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে মারধোরের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে এ ঘটনার পর ভুক্তভুগিরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
স্থানীরা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোহনপুর উপজেলার সিংহমারা গ্রামের বাসিন্দা মোজাহার আলীর মৃত্যুর পর তাদের সম্পতির ভাগাভাগি নিয়ে দন্দ্ব সৃষ্টি হলে গত ২০১৮ সালের ৭ মে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসি বিষয়টির মিমাংশা করে দেন। সকলের স্বীদ্ধান্তক্রমে কেশরহাট বাজারের কামারগাঁ রোডের পাশে দখলকৃত ২ টি দোকানের মধ্যে একটি জুলহাজ উদ্দিন দুলাল এবং আবু বকর সিদ্দিক ও অপরটি বেলাল হোসেনসহ বাকি ওয়ারিশের (চার বোন) নামে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। সকল ওয়ারিশ তাদের দোকান ঘরটি বেলাল হোসেনকে দিয়ে দেয়। সেই দোকান ঘরটি আবার ব্যবসার সুবিধার জন্যে জুলহাজ উদ্দিন দুলাল ভাড়া নেওয়া কথা জানালে তাকে ভাড়া দেওয়া হয়। পরে বেলাল হোসেন মারা যাবার পর সেই ভাড়াকৃত দোকানের ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেয় দুলাল।
বেলাল হোসেনের ছেলে অসহায় তানভীর আহমেদ আশিক সেই ঘরের মালিকানা বুঝিয়ে চেয়ে তার চাচা দুলালের কাছে একাধিকবার আকুতি করলে দুলাল তাকে ঘোরাতে থাকে। এক পর্যায়ে তানভীর তার আরেক চাচা আবু বকর সিদ্দিক ও চার ফুফুকে সঙ্গে নিয়ে দুলালের ঘরের কাছে আসলে দুলাল ও তার ছেলে তারেক মাহমুদ সাকিব উত্তেজিত হয়ে যায়। বেলাল হোসেনের ছেলের অধিকার আছে তার বাবার দোকান ঘর বুঝিয়ে নেওয়ার এমন কথা জানাতে থাকে, এসময় কথাকাটা কাটির মাঝে আকস্মিক ভাবে দুলাল ও তার ছেলে তারেক সকলকে এলোপাথারি মারধোর শুরু করে। এতে আহত হোন আবু বকর সিদ্দিক ও তানভির মাহমুদ আশিক। খরব পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করান। পরে তানভীরের পক্ষ হয়ে থানায় আবু বকর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেলিম বাদশাহ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনাটির তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।