আওয়ামী লীগ সরকার কৃষি ও কৃষক বান্ধবঃ এমপি এনামুল হক
রাজশাহীর বাগমারায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে রবি মৌসুমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চীনাবাদাম, শীতকালীন পেঁয়াজ, মসুর ও খেসারির উৎপাদন বাড়াতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। . শনিবার সকাল ১০টায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ প্রণোদনা কর্মসূচির আয়োজন করে।
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা খানমের সভাপতিত্বে ও উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তার ব্যবস্থাপনায় বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনার উদ্বোধন করেন। হাফিজুর রহমান।
প্রধান অতিথি প্রকৌশলী এনামুল হক বলেন, প্রান্তিক কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার বিনামূল্যে বিভিন্ন ফসলের সার ও বীজ বিতরণ করছে। আওয়ামী লীগ সরকার কৃষি ও কৃষকবান্ধব। বর্তমান সরকার কৃষকদের পাশে থেকে কাজ করছে। প্রতি বছর উপজেলার হাজার হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে বিনামূল্যে বিভিন্ন ফসলের বীজ প্রদান করে আসছে। আওয়ামী লীগ সরকার কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করেছে। কৃষকরা যাতে সহজে বিভিন্ন ফসল ফলাতে পারে সেজন্য সরকার বিনামূল্যে সার ও বীজ দিচ্ছে। দেশের সিংহভাগ মানুষ কৃষি উৎপাদনের সাথে জড়িত। দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্য দিয়ে খাদ্য সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে আমদানি নির্ভরতা কমেছে। দেশীয় উৎপাদন বেড়েছে। কৃষকরা বাংলার নায়ক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ আক্তার বেবি, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক মন্ডল, বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম, চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ গোলাম সারোয়ার আবুল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের প্রধান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, উপকারভোগী কৃষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
২০২২-২৩ অর্থবছরে রবি মৌসুমে গম, ভুট্রা, সরিষা, সূর্যমুখী, চীনাবাদাম, মসুর, খেসারি ও শীতকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ৫ হাজার ৬২০ জন কৃষককে বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে।
৪৫০ জন কৃষকের মধ্যে ২০ কেজি গম, ২০ কেজি ডিএপি ও এমওপি, ভুট্রা ২ কেজি, ৯৫০ জন কৃষকের মধ্যে ১০ কেজি ডিএপি ও এমওপি, ৪ হাজার জনের মধ্যে ১ কেজি সরিষা, ২০ জনের মধ্যে ১০ কেজি ডিএপি ও এমওপি ১ কেজি। সূর্যমুখী 10 কেজি ডিএপি এবং এমওপি, 20 জনের মধ্যে 10 কেজি চীনাবাদাম, 10 জনের মধ্যে 10 কেজি ডিএপি এবং 5 কেজি এমওপি, 10 জনের মধ্যে 1 কেজি শীতকালীন পেঁয়াজ বীজ, 10 কেজি ডিএপি এবং এমওপি, 20 জনের মধ্যে 5টি ২০ কেজি মসুর ডাল, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি, ৮ কেজি খেসারি, ১০ কেজি ডিএপি এবং ৫ কেজি এমপি সার।