বলতে গেলে স্টিভ জবসের মৃত্যুর পর অ্যাপল কৌশল পরিবর্তন করেনি।
অ্যাপলের সবসময় যে সমস্যাটি ছিল তা হচ্ছে তারা পাম, ব্ল্যাকবেরি এবং নোকিয়ার মতই ‘এন্ড-টু-এন্ড সল্যুশন’ তৈরী করে।
উইন্ডোজ বা অ্যান্ড্রয়েডের মত তৃতীয় পক্ষের নির্মাতাদের ওএস তৈরীর চেয়ে ক্লোজড সল্যুশনগুলো মৌলিকভাবে দুর্বল ব্যবসায়িক মডেল
আইফোন নিন। এখানে আইফোন বনাম গুগল নয়। এটি অ্যাপল বনাম গুগল এবং গুগলের সাথে স্যামসাং, হুয়াওয়ে, নোকিয়া, শাওমি, এইচটিসি, মটোরোলা, ওয়ানপ্লাস, অপো, এলজি, সনি, আসুস এবং আরো অনেক। কে জিতবে?
তাহলে এটা কেন গুরুত্বপূর্ণ? অ্যাপল তো সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনের চেয়ে বেশি লাভ (profit) করছে, তাই না?
ঠিক আছে, আপনি যদি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি একটু দূর পর্যন্ত নেন, তাহলে আমি আপনাকে একটি উদাহরণ দিচ্ছি –
কয়েক বছরের মধ্যে, অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপ রাজস্ব যেখানে অ্যাপলের তুলনায় ৫ গুণ এবং অ্যাপলের স্মার্টফোন মার্কেটে রাজস্ব মাত্র ৫% সেখানে আপনার কি মনে হয় ডেভেলপার কোম্পানীগুলো প্লে স্টোরের বদলে অ্যাপল অ্যাপ স্টোরকে বেছে নিবে? তারা কোথায় প্রথম কোন প্ল্যাটফর্মে অ্যাপ লঞ্চ করবে? দোকানগুলো প্রথমে কি অ্যাপল পে বেছে নিবে, নাকি গুগল/অ্যান্ড্রয়েড পে?
অ্যাপল মার্কেট শেয়ার হারাতে থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বীতা কেবল আরও উৎসবে পরিণত হবে।
কিন্তু হ্যাঁ! অ্যাপলের একটি বড় সুবিধা আছে। যেটি হচ্ছে অ্যাপল তার আইফোন, এয়ারপড, ম্যাকবুক, আইপ্যাড, অ্যাপল ওয়াচ, আইম্যাক ইত্যাদি পণ্য দিয়ে তারা একটি ইকোসিস্টেম তৈরী করতে সফল হয়েছে, যা কিনা ব্যবহারকারীকে অ্যাপলের পণ্যের প্রতি আকর্ষিত করতে পারে। ফলে অ্যাপল নিচের দিকে নামলেও, সেটি খুব একটা দ্রুত হবে না।
তাহলে ত্রুটিযুক্ত ব্যবসায়ের মডেল নিয়ে অ্যাপল কিভাবে বিশ্বের বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে?
ইনোভেশন! অ্যাপলের ইনোভেশন বা নতুন প্রযুক্তি খুবি ভাল হয়ে থাকে। আইফোন, আইপ্যাড, আইপড, আইটিউনস, ম্যাকবুক, আইম্যাক এতটাই বিপ্লবী ছিল যে এটি মানুষের প্রযুক্তি ব্যবহারের ধারণাই বদলে দেয়। তাই অ্যাপল আজ ক্লোজড ইকোসিস্টেম তৈরী করেছে এবং সম্ভবত এটিই ইনোভেশনের জন্য অনেক উপযুক্ত।
স্টিভ জবসের মৃত্যুর পর অ্যাপলের সবথেকে বড় কৌশলগত সমস্যা কী ছিল?
What has been Apple’s biggest strategic mistake since Steve Jobs’s death?
বলতে গেলে স্টিভ জবসের মৃত্যুর পর অ্যাপল কৌশল পরিবর্তন করেনি।
অ্যাপলের সবসময় যে সমস্যাটি ছিল তা হচ্ছে তারা পাম, ব্ল্যাকবেরি এবং নোকিয়ার মতই ‘এন্ড-টু-এন্ড সল্যুশন’ তৈরী করে।
উইন্ডোজ বা অ্যান্ড্রয়েডের মত তৃতীয় পক্ষের নির্মাতাদের ওএস তৈরীর চেয়ে ক্লোজড সল্যুশনগুলো মৌলিকভাবে দুর্বল ব্যবসায়িক মডেল
আইফোন নিন। এখানে আইফোন বনাম গুগল নয়। এটি অ্যাপল বনাম গুগল এবং গুগলের সাথে স্যামসাং, হুয়াওয়ে, নোকিয়া, শাওমি, এইচটিসি, মটোরোলা, ওয়ানপ্লাস, অপো, এলজি, সনি, আসুস এবং আরো অনেক। কে জিতবে?
তাহলে এটা কেন গুরুত্বপূর্ণ? অ্যাপল তো সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনের চেয়ে বেশি লাভ (profit) করছে, তাই না?
ঠিক আছে, আপনি যদি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি একটু দূর পর্যন্ত নেন, তাহলে আমি আপনাকে একটি উদাহরণ দিচ্ছি –
কয়েক বছরের মধ্যে, অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপ রাজস্ব যেখানে অ্যাপলের তুলনায় ৫ গুণ এবং অ্যাপলের স্মার্টফোন মার্কেটে রাজস্ব মাত্র ৫% সেখানে আপনার কি মনে হয় ডেভেলপার কোম্পানীগুলো প্লে স্টোরের বদলে অ্যাপল অ্যাপ স্টোরকে বেছে নিবে? তারা কোথায় প্রথম কোন প্ল্যাটফর্মে অ্যাপ লঞ্চ করবে? দোকানগুলো প্রথমে কি অ্যাপল পে বেছে নিবে, নাকি গুগল/অ্যান্ড্রয়েড পে?
অ্যাপল মার্কেট শেয়ার হারাতে থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বীতা কেবল আরও উৎসবে পরিণত হবে।
কিন্তু হ্যাঁ! অ্যাপলের একটি বড় সুবিধা আছে। যেটি হচ্ছে অ্যাপল তার আইফোন, এয়ারপড, ম্যাকবুক, আইপ্যাড, অ্যাপল ওয়াচ, আইম্যাক ইত্যাদি পণ্য দিয়ে তারা একটি ইকোসিস্টেম তৈরী করতে সফল হয়েছে, যা কিনা ব্যবহারকারীকে অ্যাপলের পণ্যের প্রতি আকর্ষিত করতে পারে। ফলে অ্যাপল নিচের দিকে নামলেও, সেটি খুব একটা দ্রুত হবে না।
তাহলে ত্রুটিযুক্ত ব্যবসায়ের মডেল নিয়ে অ্যাপল কিভাবে বিশ্বের বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে?
ইনোভেশন! অ্যাপলের ইনোভেশন বা নতুন প্রযুক্তি খুবি ভাল হয়ে থাকে। আইফোন, আইপ্যাড, আইপড, আইটিউনস, ম্যাকবুক, আইম্যাক এতটাই বিপ্লবী ছিল যে এটি মানুষের প্রযুক্তি ব্যবহারের ধারণাই বদলে দেয়। তাই অ্যাপল আজ ক্লোজড ইকোসিস্টেম তৈরী করেছে এবং সম্ভবত এটিই ইনোভেশনের জন্য অনেক উপযুক্ত।
তবে স্পষ্টরূপে বলতে গেলে প্রযুক্তিতে অ্যাপল যে খুব বড় পরিবর্তন আনছে তা কিন্তু নয়। তারা আইফোন থেকে হেডফোন জ্যাক সরিয়ে নিচ্ছে, আবার অ্যাপল ‘প্রো ডিসপ্লে এক্সডিআর’ এর কেবল স্ট্যান্ড’এর দামই আকাশছোঁয়া রাখছে।
এখন, যদি অ্যাপল ইনোভেট করা বন্ধ করে দেয়, তাহলে অ্যাপল তার ক্লোজড ইকোসিস্টেম নিয়ে তার ক্ষতিপূরণ দিতে পারবে না এবং তারা ক্রমাগত নিচের দিকে যেতে থাকবে।
সবশেষে, অ্যাপলের সবথেকে বড় ভুল হচ্ছে তারা তাদের আগে থেকেই থাকা পণ্যগুলিতে বেশি বিনিয়োগ করছে, যে কারণে তারা নতুন পণ্যের দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে পারছে না। ফলে অ্যাপল আর আগের মত মানুষের ব্যবহার্য প্রযুক্তিতে তেমন পরিবর্তন আনতে পারছে না, যা স্টিভ জবস থাকাকালীন অ্যাপল করতে পেরেছিল।