রাজশাহী কলেজের শিক্ষক, বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ী দের মনোযোগ সহকারে লিখাটি পড়ার ও দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করার জন্য অনুরোধ করছি:-
কালজয়ী পুরুষ! বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা যে পড়াশোনার এবং কর্মপরিবেশের কথা কল্পনা করেন রাজশাহী কলেজে তিনি তা অনেকাংশেই নিশ্চিত করেছেন। এটা নেই-ওটা নেই, এটা করা যাবে না-ওটা করা যাবে না, করে কি লাভ? কি হবে? ইত্যাদি সীমাবদ্ধতাকে উনি অনেক আগেই নিজ গুনে অতিক্রম করেছেন। আমাদের দেশে সিদ্ধান্ত নেয়ার লোক অনেক কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা বাস্তবায়ন করতে পারেন না। উনি ব্যতিক্রম। ‘করতে হবে এবং করো’- এটাই ওনার মূলমন্ত্র। যা করতে হবে তা এখনই, কালকের জন্য তিনি কিছু ফেলে রাখেন না। রাজশাহী কলেজের যে সৌন্দর্য আমরা উপভোগ করি তা ওনার সফলতার একটি অংশমাত্র। শিক্ষার উন্নয়নের ক্ষেত্রে উনি যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন তারই ফল ধারাবাহিকভাবে পরপর চারবার ‘দেশ সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ এর গৌরবময় অর্জন। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন কলেজের পরিদর্শক দল রাজশাহী কলেজ দেখতে আসেন, জানতে আসেন কিভাবে এই কলেজটি ধারাবাহিকভাবে দেশ সেরা কলেজ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। তাঁর নেয়া সাহসী পদক্ষেপ গুলো এখন অনুসরিত হচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। রাজশাহী কলেজের সফলতার মূল নায়ক আর কেউ নন, তিনি আমাদের প্রিয় অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান স্যার।
বরাবরের মতো আজও তিনি ভোর হতে রাত্রি ১০/১১ টা পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন। দাপ্তরিক কাজ তো আছেই, এছাড়াও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা সংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া, বিভাগগুলোকে নির্দেশনা দেয়া, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের তদারকি করা, ক্যাম্পাসের পরিচ্ছন্নতা এবং ফুল বাগানের পরিচর্যা ঠিকমত হচ্ছে কিনা, রাতের লাইট গুলো ঠিকমতো জ্বলছে কিনা প্রতিদিন প্রতিনিয়ত খোঁজখবর নিয়ে যাচ্ছেন। খুঁটিনাটি এমন কোন বিষয় নেই যা তাঁর দৃষ্টি এড়ায়। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি যে তাঁর শেষ কর্মদিবস কাজপাগল এই মানুষটির তা মাথাতেই নেই। কাজের মাধ্যমে তিনি নিজেকে এমন এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন যে, তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি শুধু তিনি নিজেই।
শিক্ষাক্ষেত্রে পথ প্রদর্শক এই মানুষটিকে এখনই অবসরে যেতে দেয়া যায় না। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বা অন্য কোন আইনসিদ্ধ উপায়ে চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশের শিক্ষার স্বার্থে আরো কাজ করার সুযোগ দিয়ে প্রিয় অধ্যক্ষ প্রফেসর Habibur Rahman স্যার কে সম্মানিত করা উচিত বলে মনে করি।
#মাননীয়_শিক্ষা_মন্ত্রী, ডা. দীপু মনি এম পি
#রাজশাহী_মহানগরীর_মাননীয়_মেয়র রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এবং রাজশাহীর সদর আসনের #মাননীয়_সংসদ_সদস্য মহোদয়দের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
লিখাঃ নাসিরুল আযম বাপ্পি স্যার।💗💗