বুলেটপ্রুফ পোশাক তৈরি করতে কোন পদার্থ ব্যবহৃত হয় ?

0
203

বুলেটপ্রুফ পোশাক তৈরি করতে কোন পদার্থ ব্যবহৃত হয় ?

ধাতব প্লেট বা সিরামিক একটি কমন আইডিয়া। আর সত্যি কথা হলো কাছ থেকে শ্যুট করা হলে ধাতব প্লেট কোন কাজেই লাগবে না। বুলেটের গতি খানিকটা কমলেও কখনোই ভেতরে ঢুকে আাঘাত না করার মত কম হবে না।

ফলে এ কাজে যার ব্যাবহার সবার আগে প্রণিধানযোগ্য সেটা হলো এর ফ্রেব্রিক। এতে এমন এক বিশেষ ফ্রেব্রিক ব্যাবহার করা হয়, যেটি আঘাতের ঘাত বলটাকে সমস্ত ভেস্টে ছড়িয়ে দেয়। মানে একবিন্দুতে বল প্রয়োগ হলেই সেটা তীব্র হয়, সেজন্য আঘাতটাকে পুরো ভেস্টে ছড়িয়ে দেয়া। এই ধরণের ফ্রেব্রিককে ব্যালাস্টিক ফেব্রিক বলা হয়। ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এই কাজের জন্য কেভলার নামে একটি ফেব্রিক ব্যাবহৃগ হতো। পরবর্তীতে Allied signal কোম্পানি স্পেকট্রা নামে নতুন একটি ফেব্রিক তৈরী করে। মূলত এই ফ্রেব্রিকগুলোই বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের প্রাণভোমরা।

ছবিঃ kevlar fabric.

ছবিঃ spectra fabric.

ছবিঃ গুগল থেকে সংগ্রিহীত

সাধারণত ভেস্ট বা অবস্টাকল ভেদ করে যাবার জন্য বুলেটের শক্তি বাড়ানো হয়। মানে হলো ভেতরে গানপাউডার বেশি দেয়া হয়।বুলেটের এই শক্তিকে ক্যালিবার এককে পরিমাপ করা হয়৷ ক্যালিবার মানে হলো বুলেটের আকার আকৃতি। এটাকে প্রধানত মিলিমিটার এককে লেখা হয়। যেমন, ৪.৭ ক্যালিবার মানে হলো বুলেটের দৈর্ঘ্য ৪.৭ মিলিমিটার। এখন আপনারা ভাবছেন, এত ছোট বুলেট হয় নাকি! হ্যা, হয়। বুলেট বলতে আপনারা যেটাকে বোঝেন সেটা কিন্তু নয়! ছবিটায় খেয়াল করুন।

ছবিঃ গুগল থেকে সংগৃহীত

বুলেট হলো শুধু উপরের ধাতুর টুকরোটা।

তার নিচে যেগুলোকে পাউডার বলে ইন্ডিকেট করা হয়েছে সেগুলো মূলত গান পাউডার। ক্যালিবার বলতে বুঝানো হয় শুধু বুলেটের সাইজ।

এখন বলুন তো, বুলেটের শক্তি কিভাবে বাড়ানো হয়? ঠিক ধরেছেন। গান পাউডার বেশী দেয়া হয় যার ফলে বুলেট লম্বা হয়। এই বাড়তি শক্তির বুলেটের জন্য সাধারণ বুলেটপ্রুফ ভেস্ট কি যথেষ্টহবে?

অবশ্যই না!

এই জিনিস থেকে বাঁচার জন্য ব্যালাস্টিক জেল ব্যাবহার করা হয় ভেতরে।

ছবিতে দেখুন কিভাবে ব্যালাস্টিক জেল বুলেটটিকে আটকে দিলো।

আর হ্যা, অবশ্যই ধাতব পাত ব্যাবহার করা হয়, তবে বর্তমানে ওজনে কম হওয়ায় কম আঘাতের জন্য ব্যালাস্টিক জেল ব্যাবহার করা হয়।

এখন বুঝতে পারলেন তো?

হ্যা, আপনি যা ভাবছেন তাই। যদি বুলেটের শক্তিমত্তা ভেস্টের এই সমস্ত শক্তিমত্তাকে অতিক্রম করতে পারে, তবেই বুলেট সৈনিককে আঘাত করবে। এবং যুদ্ধক্ষেত্রে সবাই তো আর ভালো জ্যাকেট পায় না, বা সেটা সম্ভবও নয়৷ বিশেষত দামের কারণে। তাই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তাছাড়া হেডশট বা মাথায় গুলি লাগলে কিছু করার নেই, বোমা বিস্ফোরণ হলে ভেস্ট কিছু করতে পারে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here