বাগমারা নাশকতা’র মামলা বিএনপির দুইশতাধিক নেতাকর্মী’র বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
রাজশাহীর বাগমারায় বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা করেছে বাগমারা থানা পুলিশ।
মামলা দায়েরের পর থেকেই উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
৩ ডিসেম্বর বিএনপি’র রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে জনসমাগম করতে না পারার দাবিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকা খালি করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির দপ্তর সভা হচ্ছে। বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা তোলপাড় সৃষ্টি করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশের তারিখ নির্ধারণ করেছেন তিনি।বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে অপরাধ এড়াতে রাজশাহী অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাগমারা থানা পুলিশ জানতে পারে, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী নাশকতার পরিকল্পনা করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বাগমারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার মুখে পুলিশ পিছু হটে। কিছুক্ষণ পর থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে বিএনপি নেতাকর্মীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ সেখান থেকে ৬টি তাজা ককটেল, বাঁশের লাঠি ও কয়েক পিচ পানির বোতল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
ওই রাতেই বাগমারা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে ভবানীগঞ্জ শহরের বিএনপির আহ্বায়ক আকতারুজ্জামান বল্টুকে প্রধান আসামি করে দুই শতাধিক নেতাকর্মী অজ্ঞাত ৭ জনের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে বাগমারা উপজেলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল ফোন ধরেননি।
অপরদিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যাপক কামাল হোসেন অভিযোগ করেছেন, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির জনসভা বানচাল করতে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের কথায় পুলিশ কাজ করছে। তিনি বাগমারায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এ বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি যে ফোন ব্যবহার করছেন তা রিসিভ করেননি। তবে পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।